
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে এক নারীকে হত্যার পরে আসামির শয়ন কক্ষে রেখে গুম করার চেষ্টার অভিযোগে হাবিবুর রহমান মিজি (৩৫) নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ড.মো. আলমগীর আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান মিজি টঙ্গীবাড়ী উপজেলার উত্তর কুরমিরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিজির ছেলে। মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার লাখারন গ্রামের মৃত শফি উদ্দিনের মেয়ে মামলার ভিকটিম সালেহা উদ্দিন ওরফে ডলি (৩০) একজন অবিবাহিতা নারী। তার মানসিক সমস্যা ছিল। ২০১৮ সালের ২ মার্চ দুপুরে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। পরে সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা যায় আসামি হাবিবুর রহমান মিজির লৌহজং উপজেলার নওপাড়া গ্রামের হাজী কালাম মোল্লার ভাড়া বাড়িতে একটি মহিলার লাশ গোপন কক্ষে রাখা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ভিকটিম ডলির ভাই সেখানে গিয়ে তার বোনের লাশ শনাক্ত করেন।
ওই দিন আসামি হাবিবুর রহমানকে স্থানীয় লোকজন মেয়েটির কথা জিজ্ঞাসা করলে ওই সময় তিনি বলেন পদ্মা নদীতে ভেসে আসা মরদেহটি ঘরের ভেতর রেখে দিয়েছে।পরে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ পুলিশ আসামি হাবিবুর রহমানের স্বয়ন কক্ষ থেকে মহিলার মরদেহ উদ্ধার করে এবং হাবিবুর রহমান মিজিকে আটক করে।এ ঘটনায় নিহতের ভাই নূর মোহাম্মদ দপ্তরি (৬০) বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২২ মার্চ টঙ্গীবাড়ী থানায় হাবিবুর রহমান মিজিকে আসামি করে মামলা করে।এ ঘটনায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি হাবিবুর রহমান মিজিকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারক ওই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাছান সারওয়াদী।