
রাজধানীর বনানীর ১১ নং রোডে পিজা হাটের (৯বম) তলায় আছাদ-জামানের গড়ে ওঠা স্পা সেন্টার ঘিরে চলছে মাদক ও নারী সিন্ডিকেট। এতে বনানী এলাকার সামাজিক পরিবেশ আজ বিপাদের মূখে। জানা গছে, আ.লীগ স্বৈারাচর সরকারের সময় উক্ত পিজা হাটে উক্ত তলায় নারী ও মাদক ব্যবসায়ী আসাদ ও জামান ভাড়া নিয়ে থাকেন। এর আগে গুলশানে এসব ব্যবসা করতেন তারা। তৎকালীন সময়ে গুলশান থানা পুলিশ আভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মানব ও মাদক মামলা দিয়েছিলেন এবং কিছুদিন গাঁ ঢাকা দেওয়ার পর উক্ত পিজা হাটে তারা অবৈধ ব্যবসা শুরু করেন। তারা নিজেরা সৈ¦রাচারী আ.লীগ সরকরারে বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয় দিতেন। এখন আবার আ.লীগ সরকার পতন হওয়ার পর বিএনপি বা অণ্যান্য সংগঠনের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপটে চালিয়ে আসছে তাদের যত অপকর্ম। বর্তমানে ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের পরিচয় দিয়ে যথারিতি স্পা অড়ালে যৌনকর্মীদের পতিতা পল্লি হিসাবে গড়ে তুলেছেন। তাদের দালালচক্রটির মাধ্যমে ইক্ত স্পা সেন্টারে প্রকাশ্যে চলছে যত অপকর্ম। এসব দালাল চক্রের বেপারোয়ায় অতিষ্ঠ সাধরন স্থানীয় জনসাধারন। কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান ভাড়া নিয়ে অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে তার এসব কারবার। পুলিশ এসবের বিরদ্ধে কঠোর থাকলেও অর্থের বিনিময়ে নিকট হার মানায় এমন মন্তব্য করেন উক্ত জামান। জামান আরো বলেন, ভাই ৫ তারিখ থানা পুলিশের মাসিক পেমেন্ট রয়েছে এবং সেটির জণ্য একাধিক ফোন দিচ্ছে পুলিশ প্রসাশন। তবে ইতিপূর্বেও ফ্যাসিবাদ সরকারের সয়মও বেশ দাপটের সাথেই স্পা সেন্টাররটি রমরমা ছিল। এলাকার এসব কারবারে এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব সিন্ডকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এসব বিষয়ে জামান আরো বলেন, আরে ভাই পুলিশ প্রশাসন নতুন আসছে তাতে কি হয়েছে ইদানিং সব ম্যানেজ হয়ে যাচ্ছে। টাকার কাছে এসব কোন ব্যপার না। তাছাড়া বিএনপি কিংবা ছাত্র-জনতা প্রতিদিন এখানে আসে তাদের নিয়ে বেশ ঝামেলায় আছি। তাই বর্তমানে ব্যবসাটাও ভালো না। আ.লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে তখন তাদের দেখে নিব এদেরকে। এখন মুখ বুঝে সব সহ্য করছি। আরো জনা যায়, তিনি এসব ব্যবসায় বিল্ডিংয়ের ম্যানেজার বা সিকিউরিটি গার্ড অতিরিক্ত লোভ দেখিয়ে ফ্লোর ভাড়া নিয়ে নিয়মিত সুন্দরী নারী ও মদকের সাপ্লাই দিয়ে তাদেরকে ম্যানেজ করেই চলছে সব। রয়েছে খদ্দের যোগানের সোসাল মিডিয়াতে বেশ প্রচার প্রচারনা। দালালচক্ররা সুন্দরী মেয়েদের টার্গেট করে উচ্চ বেতনের চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত অবৈধ স্পা সেন্টার দুটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে যৌন বাণিজ্য করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে রাজধানীজুড়ে রয়েছে তার নারী সিন্ডিকেটের একটি দালাল চক্র। যারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে বৃত্তবান পুরুষদের খদ্দের হিসেবে যোগান দিয়ে থাকেন। এমনকি তাদেরকে সুন্দরী নারী দিয়ে বø্যাকমেইলও করেন। উক্ত সহিদের কর্মই হচ্ছে এসব ব্যবসা। এমনকি এসব ব্যবসায় মাদকসহ একাধিক মামলাও রয়েছে তার নামে। একাধিক মমলা হওয়ার পরও তিনি এসব ব্যবসা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারেননি। তার অণ্যতম কারন হচ্ছে তিনি শিখেছেন এসব ব্যবসা। আর এসব ব্যবসায় তারা আজ কোটিপতি বলে জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আরো কয়েকজন রয়েছে। এসব ব্যবসা ঘিরে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আরো জানা গেছে, স্পা সেন্টারটির মালিক ও দালাল চক্ররা সমাজের উচ্চ পর্যায়ের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বা চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত স্পা সেন্টারটিতে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়ে বাধ্য করেন দেহব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্ম।
এবিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, ভাই আমরা এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং শুনেছি পিজা হাটের নবম তলায় একটি অবৈধ স্পা সেন্টার রয়েছে। তবে সেটির মালিক কে বা কাহারা সেটি আমার জানা নেই। আর আমার থানা পুলিশ এসব বিষয়ে জড়িত নয়। এছাড়া বনানীতে অনৈতিক কারবার বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আপনারা সহযোগীতা করলে এসব ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।