Dhaka 1:29 pm, Saturday, 15 March 2025

মির্জাগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের
১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার (২২ জানুয়ারি)
দিবাগত রাত একটার দিকে দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া
গ্রামের সাত্তার মিস্ত্রির একতলা পাকা বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
সাত্তার মিস্ত্রী জানান, রাত একটার দিকে ডাকাত দল ঘরের চারপাশে থাকা
বারোটি সিসি ক্যামেরার পাঁচটি ক্যামেরা ও বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার
জন্য মিটার ভেঙে ফেলে। ঘরের ভিতর থেকে সাত্তার মিস্ত্রির পরিবারের
সদস্যরা আঁচ করতে পারে বাড়ির ভিতরে ডাকাত পড়েছে। জানালা খুলে
অন্য বাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় বিদ্যুৎ আছে, তবে তার বাড়িতে
বিদ্যুৎ নেই। ঘরের পূর্ব পাশের একটি জানলার গ্লাসের লক ভাঙা, গ্রীলের
কিছু অংশ কাটা এবং ভাঁজ করা। দ্রুত তারা এলাকার মসজিদের ইমাম
হারুনুর রশিদের কাছে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। মসজিদের
মাইক থেকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর চারদিক থেকে
লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায়। তবে ডাকাতরা ভবনের ছাদেও অবস্থান
নিয়েছিল বলে জানান তিনি।স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রত্যেকটা মসজিদে
মাইকিং করা হয়। কয়েকটা গুলি সদৃশ আওয়াজ শুনতে পাই। সম্ভবত ডাকাত দল যাওয়ার সময় গুলি করতে করতে যায়।
গ্রেফতারকৃত মিন্টু সিকদার বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব মহেশপুর গ্রামের বজলু সিকদারের ছেলে। তার নামে কলাপাড়া ও মহিপুর থানায় ২টি ডাকাতি মামলা, বাকেরগঞ্জ ও বরিশাল মেট্রোপলিটনে একাধিক চুরি মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। পালিয়ে যাওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন মির্জাগঞ্জ উপজেলার মানসুরাবাদ গ্রামের সোবাহানের ছেলে মিলন। বাকেরগঞ্জের মহেশপুরের ইউসুফ জোমাদ্দারের ছেলে হাকিম, মির্জাগঞ্জের জয়নাল
মোল্লার ছেলে মাইনুল এবং রাসেদুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধাওয়া করার এক পর্যায় উপজেলার গোলখালী বাজার সংলগ্ন রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কর্দমাক্ত পায়ে দেখা যায়।সন্দেহভাজনভাবে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় ডাকাতির প্রস্তুতির কথা স্বীকার এবং ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন। গ্রেফতারকৃত মিন্টুকে নিয়ে সারাদিন অন্য আসামিদের ধরার জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। তবে অন্য কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামীম হাওলাদার জানান, গ্রেফতারকৃতর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল।

 

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

মির্জাগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেফতার

Update Time : 10:34:07 pm, Friday, 24 January 2025
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের
১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার (২২ জানুয়ারি)
দিবাগত রাত একটার দিকে দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া
গ্রামের সাত্তার মিস্ত্রির একতলা পাকা বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
সাত্তার মিস্ত্রী জানান, রাত একটার দিকে ডাকাত দল ঘরের চারপাশে থাকা
বারোটি সিসি ক্যামেরার পাঁচটি ক্যামেরা ও বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার
জন্য মিটার ভেঙে ফেলে। ঘরের ভিতর থেকে সাত্তার মিস্ত্রির পরিবারের
সদস্যরা আঁচ করতে পারে বাড়ির ভিতরে ডাকাত পড়েছে। জানালা খুলে
অন্য বাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখতে পায় বিদ্যুৎ আছে, তবে তার বাড়িতে
বিদ্যুৎ নেই। ঘরের পূর্ব পাশের একটি জানলার গ্লাসের লক ভাঙা, গ্রীলের
কিছু অংশ কাটা এবং ভাঁজ করা। দ্রুত তারা এলাকার মসজিদের ইমাম
হারুনুর রশিদের কাছে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। মসজিদের
মাইক থেকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর চারদিক থেকে
লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায়। তবে ডাকাতরা ভবনের ছাদেও অবস্থান
নিয়েছিল বলে জানান তিনি।স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রত্যেকটা মসজিদে
মাইকিং করা হয়। কয়েকটা গুলি সদৃশ আওয়াজ শুনতে পাই। সম্ভবত ডাকাত দল যাওয়ার সময় গুলি করতে করতে যায়।
গ্রেফতারকৃত মিন্টু সিকদার বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব মহেশপুর গ্রামের বজলু সিকদারের ছেলে। তার নামে কলাপাড়া ও মহিপুর থানায় ২টি ডাকাতি মামলা, বাকেরগঞ্জ ও বরিশাল মেট্রোপলিটনে একাধিক চুরি মামলাসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। তিনি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। পালিয়ে যাওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন মির্জাগঞ্জ উপজেলার মানসুরাবাদ গ্রামের সোবাহানের ছেলে মিলন। বাকেরগঞ্জের মহেশপুরের ইউসুফ জোমাদ্দারের ছেলে হাকিম, মির্জাগঞ্জের জয়নাল
মোল্লার ছেলে মাইনুল এবং রাসেদুলসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধাওয়া করার এক পর্যায় উপজেলার গোলখালী বাজার সংলগ্ন রাস্তায় এক ব্যক্তিকে কর্দমাক্ত পায়ে দেখা যায়।সন্দেহভাজনভাবে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় ডাকাতির প্রস্তুতির কথা স্বীকার এবং ডাকাত দলের অন্যান্য সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন। গ্রেফতারকৃত মিন্টুকে নিয়ে সারাদিন অন্য আসামিদের ধরার জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। তবে অন্য কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামীম হাওলাদার জানান, গ্রেফতারকৃতর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল।