
মাদারীপুরে নদীপথে ডাকাতি করে পালানোর সময় বাধা দেয়ায় ডাকাত দলের হাতবোমা নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণে ৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের কৃত্তিনাশা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- বরগুনা সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের আজিজ মোল্লার ছেলে হেলাল মোল্লা (৪৪), আব্বাস সরদারের ছেলে অনিক সর্দার (১৪), কালাম সরদারের ছেলে সালাউদ্দিন সর্দার (৩৫), আব্দুর রহমান সরদারের ছেলে দুলাল সর্দার (৩৭) ও হানিফ ফরাজির ছেলে সাইম ফরাজি (১৮)। তারা সবাই বালু কাটা শ্রমিক। তাদেরকে ২৫০-শয্যা মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে শরীয়তপুর থেকে ডাকাতি করে নদীপথে ফিরছিল একদল ডাকাত। এ সময় মাদারীপুর সদর থানাধীন খোয়াজপুর ও রাজারহাটের মাঝামাঝি আসলে এলাকার লোকজন বাল্কহেডের (বালু কাটা ট্রলার) সাহায্যে তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে আটকা পড়ে গেলে ডাকাতদল তাদের নৌকা থেকে এলোপাতাড়ি শটগানের গুলি ছোড়ে এবং হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন এবং ডাকাত দল পুনরায় শরীয়তপুরের দিকে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা মাদারীপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের শরীরে ২১টি রাবার বুলেট লেগেছে।
আহত সাইম ফরাজি বলেন, আমরা খবর পেয়ে ডাকাত ধরার জন্য লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রস্তুত ছিলাম। বালু কাটা বড় ট্রলারের মধ্যে বসা ছিলাম। রাজারহাট পার হয়ে দুই পাশ থেকে ট্রলার দিয়ে ডাকাতদের আটকে ফেলি। এ সময় ডাকাতরা গুলি ছুড়লে আমাদের মধ্যে দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।
মাদারীপুর সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুর রাজ্জাক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ডাকাত দলের ছোড়া রাবার বুলেটের আঘাতে ৫ জন আহত হয়েছেন। তারা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।