
ওজন কমাতে কত ঝক্কি! কেউ খাবার খাওয়া কমান, কিটো ডায়েট করেন, কেউ ব্যায়াম করেন। ওজন কমে যাওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক। যদি ৬ মাসের মধ্যে শরীরের ওজনের ৫ শতাংশ বা তার বেশি কমে যায়, যেমন ৫০ কেজি থেকে ৪৬ কেজি, তবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কেননা এটি বেশ কিছু রোগের পূর্ব লক্ষ্মণ।হাইপারথাইরয়েডিজম বা থাইরয়েড হরমোন বৃদ্ধির কারণে কারণে মেটাবলিজম দ্রুত হয়ে যায়।
ফলে খাওয়া সত্ত্বেও শরীর পুষ্টি পায়না ও ওজন কমতে থাকে রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের মাধ্যমে শর্করা বেরিয়ে যায়, ফলে ওজন কমে যায়। সময়মতো ডায়াবেটিস শনাক্ত না হলে রোগী অজান্তেই রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে থাকে। তাই হঠাৎ ওজন কমতে শুরু করলে ডায়াবেটিস টেস্ট করান।অনেক ধরনের ক্যান্সার (প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার, ফুসফুস ক্যান্সার, লিউকেমিয়া) শরীরের শক্তি ক্ষয় করে।
।ডিপ্রেশন বা স্ট্রেস ডিজঅর্ডার থাকলে অনেক সময় খাওয়ার ইচ্ছা মরে যায়। আবার অ্যানোরেক্সিয়া নার্ভোসা এমন একটি সমস্যা যেখানে রোগী ওজন বাড়ার ভয়ে খাওয়া বন্ধ করে দেয়। এ ধরনের ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের ওজনের ব্যাপারে পরিবারের খেয়াল করতে হবে ছয় মাসে শরীরের মোট ওজনের ৫ শতাংশের বেশি ওজন কমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটা বড় কোনো রোগের পূর্বাভাস।দুর্বলতা, জ্বর বা ক্রমাগত পেটের সমস্যা থাকলে এটি এড়িয়ে যাওয়া উচিত না।