Dhaka 9:06 pm, Friday, 14 March 2025

ডিসেম্বরের মধ্যে তিন হাজারের বেশি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে

শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬৪টি জেলায় ৩ হাজারের বেশি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বাসসকে জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জুন, ২০২৪ পর্যন্ত শূন্যপদের ভিত্তিতে ৬৪টি জেলায় ৩ হাজারের বেশি ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শূন্য পদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ সংখ্যা বাড়তে পারে।’

পুলিশ সদর দপ্তর নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এ সম্পর্কিত তথ্য সম্বলিত একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। কর্মকর্তা বলেন, মূল নিয়োগ প্রক্রিয়া ২৫ অক্টোবর শুরু হবে এবং ৪ ডিসেম্বরে শেষ হবে।

মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এনামুল হক সাগর বাসসকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়া এবং সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখার মাধ্যমে টিআরসি নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।
সাগর বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তর ইতোমধ্যেই ইচ্ছুক প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় কারো সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে জড়িত না হওয়ার জন্য সতর্ক করেছে।
ইচ্ছুক টিআরসি’কে পুলিশ সদর দপ্তরের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অন্তত সাতটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে।

এই পদক্ষেপগুলো হলো- প্রাথমিক স্ক্রীনিং, শারীরিক পরিমাপ এবং নথি যাচাইকরণ, শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, বুদ্ধিমত্তা প্রশ্ন পরীক্ষা ও ভাইভা, মেডিকেল পরীক্ষা, পুলিশ যাচাইকরণ এবং পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (পিটিসি) যোগদান।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)সহ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা শিক্ষানবিশ পুলিশের ন্যায্য নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য তাদের মাঠপর্যায়ের কাজ শুরু করেছে। সাগর আরো বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যদি কোনো অন্যায্য প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় তবে তারা অবশ্যই স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করবেন।

এআইজি সাগর বলেন, ‘ন্যায্য নিয়োগ নিশ্চিত করতে আমরা সারাদেশে আমাদের ডিজিটাইজড মেকানিজম প্রয়োগ করার পাশাপাশি উচ্চ সতর্কতায় থাকব। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পুলিশের সাইবার টহল আরো জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ইতিমধ্যেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লি ষ্ট ইউনিটগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ এটি নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে না পারে।’
তিনি সকলকে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনো অসদুপায় উপায় বা অনিয়ম ধরা পড়লে ৯৯৯ নম্বরে ডায়াল করার অনুরোধ জানান।

স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তারা নতুন পুলিশ সদস্য নিয়োগের পরিকল্পনা করছেন এবং এ বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি বিজ্ঞাপনও প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিজ্ঞাপনও দুয়েক দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। আমরা বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) এবং আনসার সদস্যদের নিয়োগের পরিকল্পনা করছি।’

সুত্র: বিএসএস বাসস

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ডিসেম্বরের মধ্যে তিন হাজারের বেশি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে

Update Time : 08:52:10 pm, Tuesday, 1 October 2024

শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬৪টি জেলায় ৩ হাজারের বেশি পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশ সদর দপ্তরের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বাসসকে জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা জুন, ২০২৪ পর্যন্ত শূন্যপদের ভিত্তিতে ৬৪টি জেলায় ৩ হাজারের বেশি ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শূন্য পদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ সংখ্যা বাড়তে পারে।’

পুলিশ সদর দপ্তর নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এ সম্পর্কিত তথ্য সম্বলিত একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে। কর্মকর্তা বলেন, মূল নিয়োগ প্রক্রিয়া ২৫ অক্টোবর শুরু হবে এবং ৪ ডিসেম্বরে শেষ হবে।

মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্সের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এনামুল হক সাগর বাসসকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়া এবং সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখার মাধ্যমে টিআরসি নিয়োগের পরিকল্পনা করেছে।
সাগর বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তর ইতোমধ্যেই ইচ্ছুক প্রার্থীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় কারো সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে জড়িত না হওয়ার জন্য সতর্ক করেছে।
ইচ্ছুক টিআরসি’কে পুলিশ সদর দপ্তরের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অন্তত সাতটি ধাপ অতিক্রম করতে হবে।

এই পদক্ষেপগুলো হলো- প্রাথমিক স্ক্রীনিং, শারীরিক পরিমাপ এবং নথি যাচাইকরণ, শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা, লিখিত পরীক্ষা, বুদ্ধিমত্তা প্রশ্ন পরীক্ষা ও ভাইভা, মেডিকেল পরীক্ষা, পুলিশ যাচাইকরণ এবং পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (পিটিসি) যোগদান।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)সহ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা শিক্ষানবিশ পুলিশের ন্যায্য নিয়োগ নিশ্চিত করার জন্য তাদের মাঠপর্যায়ের কাজ শুরু করেছে। সাগর আরো বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যদি কোনো অন্যায্য প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায় তবে তারা অবশ্যই স্বার্থন্বেষী গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করবেন।

এআইজি সাগর বলেন, ‘ন্যায্য নিয়োগ নিশ্চিত করতে আমরা সারাদেশে আমাদের ডিজিটাইজড মেকানিজম প্রয়োগ করার পাশাপাশি উচ্চ সতর্কতায় থাকব। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পুলিশের সাইবার টহল আরো জোরদার করা হবে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ইতিমধ্যেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লি ষ্ট ইউনিটগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ এটি নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে না পারে।’
তিনি সকলকে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনো অসদুপায় উপায় বা অনিয়ম ধরা পড়লে ৯৯৯ নম্বরে ডায়াল করার অনুরোধ জানান।

স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তারা নতুন পুলিশ সদস্য নিয়োগের পরিকল্পনা করছেন এবং এ বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি বিজ্ঞাপনও প্রকাশিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগের বিজ্ঞাপনও দুয়েক দিনের মধ্যে প্রকাশিত হবে। আমরা বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) এবং আনসার সদস্যদের নিয়োগের পরিকল্পনা করছি।’

সুত্র: বিএসএস বাসস