Dhaka 1:39 am, Friday, 9 May 2025

ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০% পদোন্নতি কোটা বাতিল

ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০% পদোন্নতি কোটা বাতিল

ছয় দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

সকাল থেকেই নগরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে আসেন। পরে সেখানে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এসে যোগ দেন। অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষে ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত করা, ২০২১ সালের নিয়োগ বাতিল এবং বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন।

গত বুধবার থেকে এসব দাবিতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে গতকাল রোববার হাইকোর্টের দেওয়া একটি রায় চেম্বার আদালত স্থগিত করেছেন। ওই রায়ে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতির কথা বলা হয়েছিল। আদালতের স্থগিতাদেশেও অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা রায় পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।

বেলা তিনটার দিকে দেখা যায়, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বসে স্লোগান দিচ্ছেন। এতে সড়কের এক পাশে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০% পদোন্নতি কোটা বাতিল

Update Time : 04:11:52 pm, Monday, 21 April 2025

ছয় দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন চট্টগ্রামের বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

সকাল থেকেই নগরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ২ নম্বর গেট এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে আসেন। পরে সেখানে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এসে যোগ দেন। অবস্থান কর্মসূচির একপর্যায়ে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষে ন্যাশনাল পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা বাতিল, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতির রায় বাতিল, পদবি পরিবর্তন, মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাকরিচ্যুত করা, ২০২১ সালের নিয়োগ বাতিল এবং বিতর্কিত নিয়োগবিধি সংশোধন।

গত বুধবার থেকে এসব দাবিতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে গতকাল রোববার হাইকোর্টের দেওয়া একটি রায় চেম্বার আদালত স্থগিত করেছেন। ওই রায়ে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতির কথা বলা হয়েছিল। আদালতের স্থগিতাদেশেও অসন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা রায় পুরোপুরি বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন।

বেলা তিনটার দিকে দেখা যায়, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বসে স্লোগান দিচ্ছেন। এতে সড়কের এক পাশে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।