
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের বাঁশের ব্রিজ এলাকায় প্রাইভেটকার ও যাত্রীবাহী ভ্যানের সংঘর্ষে অটোভ্যানের দুই যাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অটোভ্যানের চালকসহ আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেল তিনটার দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে কালাই উপজেলার বাঁশের ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রাইভেটকারের মালিককে জনতা আটক করেন।
নিহত দুই যাত্রী হলেন- কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের ভূগোইল গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন মণ্ডল (৪০) এবং একই গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলী (৬০)। আর আহতরা হলেন- কালাই উপজেলার ভূগোইল গ্রামের ভ্যানচালক নুরুল ইসলাম আকন্দ এবং একই ইউনিয়নের বুড়াইল গ্রামের আশরাফ আলী। কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন হতাহতের বিষয় নিশ্চিত করেছেন।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানান, বুধবার বিকেলে অটোভ্যানচালক নুরুল ইসলাম আকন্দ তার ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বাঁশের ব্রিজ এলাকা থেকে ৪-৫ জন যাত্রী নিয়ে পুনট বাজারে যাচ্ছিলেন।
পথে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কে বাঁশের ব্রিজ এলাকায় একটি দ্রুতগামী প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোভ্যানের দুই যাত্রী নিহত হন। সেই সঙ্গে আহত হন ভ্যানচালকসহ দুইজন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ সময় চালক পালিয়ে গেলেও প্রাইভেটকারের মালিক বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা বন্দরে অবস্থিত ওয়ালটন শোরুমের মালিক চয়নকে আটক করে নিহত দুই লাশের সঙ্গে ভূগোইল গ্রামে নিয়ে যায় উত্তেজিত জনতা। পরে পুলিশ ও কালাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেখার রহমান ওই গ্রামে গিয়ে উত্তেজিত জনতাদের সঙ্গে বসে সমঝোতা করে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় প্রাইভেটকার মালিককে ছেড়ে দেয়া হয়।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, নিহতের পরিবারের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় দুইজনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
কালাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফতেখার রহমান বলেন, নিহতের ঘটনায় ভূগোইল গ্রামের লোকজন প্রাইভেটকারের মালিককে আটক করে নিয়ে যায়। এরপর গ্রামের মধ্যে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে পরিবেশ শান্ত করা হয়।