
নয়াদিল্লি পুলিশের একাধিক বিশেষ অভিযানে মোট ১২ গাড়ি চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে ২৪টি চোরাই গাড়ি। এই অভিযান চালানো হয় দ্বারকা জেলার বিভিন্ন এলাকায়, যেখানে পুলিশ ও অ্যান্টি অটো থেফট স্কোয়াডের সমন্বিত প্রয়াসে একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।জেলা জুড়ে গাড়ি চুরির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয় বলে জানান ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) অঙ্কিত সিংহ।
কেতন সিংহ (যিনি তালিকাভুক্ত ‘ব্যাড ক্যারেক্টার’) এবং রুদ্র, দু’জনই উত্তর নগরের বাসিন্দা। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে ধরা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ছয়টি মোটরসাইকেলও উদ্ধার হয়, যার মধ্যে দুটি সীতাপুরি ও আনন্দ বিহার থেকে চুরি হয়েছিল। কেতেন সিংহ এর আগেও ৯টি গাড়ি চুরির মামলায় যুক্ত ছিল।অমিত, চন্দন (দু’জনই দ্বারকা উত্তর এলাকার ‘ব্যাড ক্যারেক্টার’) এবং অমান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চারটি মোটরসাইকেল ও একটি স্কুটার উদ্ধার করা হয়। তারা আগেও ডাকাতি, চুরি এবং ছিনতাইয়ের মামলায় জড়িত ছিল। রবার্ট, একজন অভ্যাসগত অপরাধী যার বিরুদ্ধে আগে থেকেই ৩৪টি মামলা রয়েছে (রববারি, অস্ত্র আইনসহ), এবং তার সহযোগী রবি (যার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে খুনের অভিযোগও রয়েছে)- দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের কাছ থেকে দুটি চোরাই ভ্যান ও চারটি দুই চাকার যান উদ্ধার হয়। রামন ও তার ছেলে সাগর (রোহিনী সেক্টর-৫ এর বাসিন্দা) — তাদের কাছ থেকে একটি চোরাই গাড়ি উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায়, তারা মীরাটে একাধিক চোরাই গাড়ি বিক্রি করেছে।
পুলিশ জানায়, নওয়াদা-হস্তসাল রোডে সন্দেহজনক এক বাইকারকে থামাতে গেলে সে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া করে সন্দীপ নামে ওই বাইকারকে ধরে ফেলে। চেক করার পর দেখা যায়, তার মোটরবাইকটি চুরি হওয়া। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুইটি চোরাই বাইক উদ্ধার হয়। সে আগেও চারটি অপরাধমূলক মামলায় জড়িত ছিল। নয়াদিল্লি পুলিশের এই বিশেষ অভিযান শহরে গাড়ি চুরির বিরুদ্ধে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তদন্ত চলছে, এবং চক্রগুলোর বিস্তৃত কার্যকলাপ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।