Dhaka 11:05 pm, Sunday, 27 April 2025

আলোচিত সাত খুনের ১১ বছর আজ

গত ৮ বছর ধরে আপিলেই মামলার বিচারকাজ আটকে রয়েছে।

১১ বছরেও নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুনের বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। গত ৮ বছর ধরে আপিলেই মামলার বিচারকাজ আটকে রয়েছে। এতে নিহতদের স্বজনদের মধ্যে দীর্ঘশ্বাস ও হতাশা বাড়ছে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এর তিনদিন পর শীতলক্ষ্যায় একে একে সবার মরদেহ ভেসে ওঠে।

পরে এ ঘটনায় করা দুই মামলায় ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় নারায়ণগঞ্জ আদালত। অপর ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে যায়। এরপর ওই বছরের ২২ আগষ্ট কাউন্সিলর নুর হোসেন, বরখাস্তকৃত র‍্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। রায়ের পর আসামিরা আপিল করে। তবে সেই আপিল এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।

মামলার বাদী বিউটি বেগম বলেছেন, নিম্ন আদালতে দ্রুত এই মামলার রায় দিয়েছিল। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। এরপর হাইকোর্টেও রায় হয়েছে। কিন্তু এরপরও কোন অপশক্তির কারণে বিচারকাজ ঝুলে রয়েছে- এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

এদিকে, ৭ খুনের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবিতে একাধিকবার বিক্ষোভ নামেন স্বজন ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায়ের সাথে এই মামলার বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করব। পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করব। এই সরকারের আমলে মামলাটির নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

আলোচিত সাত খুনের ১১ বছর আজ

Update Time : 11:17:07 am, Sunday, 27 April 2025

১১ বছরেও নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুনের বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। গত ৮ বছর ধরে আপিলেই মামলার বিচারকাজ আটকে রয়েছে। এতে নিহতদের স্বজনদের মধ্যে দীর্ঘশ্বাস ও হতাশা বাড়ছে।

২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের তৎকালীন প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এর তিনদিন পর শীতলক্ষ্যায় একে একে সবার মরদেহ ভেসে ওঠে।

পরে এ ঘটনায় করা দুই মামলায় ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় নারায়ণগঞ্জ আদালত। অপর ৯ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে যায়। এরপর ওই বছরের ২২ আগষ্ট কাউন্সিলর নুর হোসেন, বরখাস্তকৃত র‍্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে হাইকোর্ট। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। রায়ের পর আসামিরা আপিল করে। তবে সেই আপিল এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।

মামলার বাদী বিউটি বেগম বলেছেন, নিম্ন আদালতে দ্রুত এই মামলার রায় দিয়েছিল। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। এরপর হাইকোর্টেও রায় হয়েছে। কিন্তু এরপরও কোন অপশক্তির কারণে বিচারকাজ ঝুলে রয়েছে- এমন প্রশ্নও রাখেন তিনি।

এদিকে, ৭ খুনের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবিতে একাধিকবার বিক্ষোভ নামেন স্বজন ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন তারা।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উচ্চপর্যায়ের সাথে এই মামলার বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করব। পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করব। এই সরকারের আমলে মামলাটির নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছি।