Dhaka 4:19 pm, Friday, 16 May 2025

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলো ১১ বাংলাদেশি

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলো ১১ বাংলাদেশি

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া ১১ বাংলাদেশি নাগরিক দীর্ঘ ৮/৯ মাস কারাভোগ শেষে অবশেষে দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।

ফিরে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো. ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমাদ্দার, রাজশাহীর মো. আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মো. আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান ও মো. রুহুল আমিন। হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার এসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মুখলেছুর রহমান এবং ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার মো. শিহাবুল হোসেন।

ফিরে আসা ফারজানা আক্তার নিপা জানান, ভারতে কিছু বন্ধু ছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হই। প্রায় ৮ মাস পর দেশে ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কেউ যেন এভাবে অবৈধভাবে না যায়।

রাজশাহীর বাসিন্দা অনিকের বাবা বলেন, আমার ছেলে রাগ করে বাড়ি ছেড়ে বের হয়ে যায়। পরে জানতে পারি সে ভারতে আটক হয়েছে। আজ ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুবই আনন্দিত।হেলাল জমাদ্দারের ভাই বেলাল জমাদ্দার বলেন, ভাই কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে জানতে পারি ভারতে আটক হয়েছে। আজ সরকারি উদ্যোগে দেশে ফিরেছে, এজন্য কৃতজ্ঞ।

ব্র্যাকের সিনিয়র কর্মকর্তা শিহাবুল হাসান বলেন, ফিরে আসা নাগরিকদের ব্র্যাকের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী দেয়া হয়েছে।ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের সহকারি কমিশনার কনসুলার এসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ জানান, ৭/৮ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয় তারা।  আদালতের মাধ্যমে কারাভোগ শেষে তাদেরকে ত্রিপুরায় অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখায় হয়। জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের নাম ঠিকানা পাঠাই। নাগরিকত্ব যাচাই শেষে ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিগকে আমরা প্রত্যাবসনের ব্যবস্থা করি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলো ১১ বাংলাদেশি

Update Time : 12:18:27 pm, Friday, 16 May 2025

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়া ১১ বাংলাদেশি নাগরিক দীর্ঘ ৮/৯ মাস কারাভোগ শেষে অবশেষে দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।

ফিরে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো. ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমাদ্দার, রাজশাহীর মো. আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মো. আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান ও মো. রুহুল আমিন। হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার এসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন অফিসার ইনচার্জ আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মুখলেছুর রহমান এবং ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার মো. শিহাবুল হোসেন।

ফিরে আসা ফারজানা আক্তার নিপা জানান, ভারতে কিছু বন্ধু ছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হই। প্রায় ৮ মাস পর দেশে ফিরতে পেরে খুব ভালো লাগছে। কেউ যেন এভাবে অবৈধভাবে না যায়।

রাজশাহীর বাসিন্দা অনিকের বাবা বলেন, আমার ছেলে রাগ করে বাড়ি ছেড়ে বের হয়ে যায়। পরে জানতে পারি সে ভারতে আটক হয়েছে। আজ ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুবই আনন্দিত।হেলাল জমাদ্দারের ভাই বেলাল জমাদ্দার বলেন, ভাই কাজের খোঁজে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। পরে জানতে পারি ভারতে আটক হয়েছে। আজ সরকারি উদ্যোগে দেশে ফিরেছে, এজন্য কৃতজ্ঞ।

ব্র্যাকের সিনিয়র কর্মকর্তা শিহাবুল হাসান বলেন, ফিরে আসা নাগরিকদের ব্র্যাকের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও উপহার সামগ্রী দেয়া হয়েছে।ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনের সহকারি কমিশনার কনসুলার এসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ জানান, ৭/৮ মাস আগে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয় তারা।  আদালতের মাধ্যমে কারাভোগ শেষে তাদেরকে ত্রিপুরায় অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টারে রাখায় হয়। জানতে পেরে বাংলাদেশ সরকারকে তাদের নাম ঠিকানা পাঠাই। নাগরিকত্ব যাচাই শেষে ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিগকে আমরা প্রত্যাবসনের ব্যবস্থা করি।