
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হাসিম মোল্যা (৩৮) নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনায় মারা গেছেন। সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কালিয়া উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত হাসিম মোল্যা সিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা। সংঘর্ষের পর যৌথবাহিনী ওয়ান সুটারগান ও গুলিসহ মৃত আহমদ মোল্যার ছেলে সিরাজ মোল্যা (৪৪) ও মকবুল শেখের ছেলে আজিজার শেখ (৫৫) নামে দু’জনকে আটক করেছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন কালিয়া থানার পুলিশ সদস্য চন্দন সাহা ও সজল, সিলিমপুর গ্রামের কাদের মোল্যা, তার দুই ছেলে জনি মোল্যা ও হাসিম মোল্যা, তোতা মোল্যার ছেলে বনি মোল্যাসহ মোট ১০ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামিদপুর ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামে ঠান্ডু মোল্যা ও জনি মোল্যা গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকালে ঠান্ডু মোল্যা গ্রুপের লোকজন জনি মোল্যা গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে হাসিম মোল্যাসহ ১০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ প্রতিহত করতে গেলে পুলিশের দুই সদস্যও আহত হন। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসিম মোল্যা মারা যান।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম জানান, সিলিমপুর গ্রামে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।