কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতে কী পরিমাণ অর্থ ঋণ দেওয়া হবে তার নতুন লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যক্তি পর্যায়ে প্রান্তিক অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তারাও পাবেন জামানতবিহীন ঋণ। ট্রেড লাইসেন্স নেই এমন উদ্যোক্তাদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের ঋণের আওতা বাড়াতে নীতিগত পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনা মতে, সিএমএসএমই খাতে মেয়াদি ঋণ পাঁচ বছরের স্থলে সর্বোচ্চ সাত বছর করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচ বছর বা তার বেশি মেয়াদি ঋণের ক্ষেত্রে প্রকল্প ভেদে যেমন কারখানা নির্মাণ ইত্যাদি ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৬ থেকে ১২ মাস গ্রেস পিরিয়ড প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়ক জামানতবিহীন ঋণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ খাতে সহায়ক জামানত ব্যতিরেকে পাঁচ লাখ টাকার অধিক পরিমাণ ঋণ প্রদান ও নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্ক বিবেচনায় সহায়ক জামানত ব্যতিরেকে ২৫ লাখ টাকার বেশি ঋণ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আমির উদ্দিন জানান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমানে ২২ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা মাত্র সাত শতাংশ ঋণ পাচ্ছেন। এখন থেকে জামানত ছাড়াই ২৫ লাখ টাকারও বেশি ঋণ পাবেন নারী উদ্যোক্তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)