মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ফিলিস জাকা ২৩ হাজার মা-কে নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, গর্ভাবস্থায় যেসব মায়েরা জাঙ্কফুড, প্রসেসড ফুড, সল্টি স্ন্যাকস, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি বেশি খেয়েছেন, তাদের সন্তানেরা বেশিরভাগই অস্থির, মেজাজি ও আক্রমণাত্মক হয়েছে তাদের তুলনায়, যাদের মায়েরা গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি প্রাকৃতিক ও তাজা খাবার খেয়েছেন। এমনকি উৎকণ্ঠা, বিষন্নতা ও দুঃস্বপ্নে ভোগার মতো প্রভাবে দেখা গেছে তাদের মধ্যে।মানুষের ব্রেনের ক্ষেত্রেও এই একই ব্যাপার ঘটতে পারে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড না পেলে তার মধ্যেও দেখা দিতে পারে অনিশ্চয়তাবোধ, অস্থিরতা ও ভীতু প্রবণতা।
১. তৈলাক্ত মাছ
২. প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা প্রাণীর মাংস
৩. উদ্ভিজ্জ তেল
৪. বীজ এবং
৫ কাঠবাদাম
এই খাবারগুলো নিজে খান, শিশুদেরও খেতে দিন। এতে ব্রেন হবে সুগঠিত।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড একটি ভালো ফ্যাট, এটি আপনার ব্রেনের জন্য সহায়ক।
কিন্তু, খারাপ ফ্যাট ব্রেনের ক্ষতি করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা আলজিমার রোগটিকে এখন বলে থাকেন ব্রেনের ডায়াবেটিস। অতিরিক্ত চিনি প্রসেস করতে লিভারের যে অবস্থা হয় অর্থাৎ ডায়াবেটিস, ব্রেনের ও একই অবস্থা হয় আলজিমার।
তাহলে কোন খাবারগুলো ব্রেনের ক্ষমতা বাড়াবে
১. ইলিশ ও ভেটকি মাছ - প্রচুর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডের উৎস
২. বাদাম, বিশেষত কাঠবাদাম ও আখরোট
৩. তাজা ফল ও সবজি - পেয়ারা, টমেটো, পালং শাক, বরবটি, স্ট্রবেরি , ব্লুবেরি
এছাড়াও, প্রতিদিন পরিমিত ঘুম ও ব্যায়ামের মাধ্যমে এবং কোনো প্রকার বদঅভ্যাসে না জড়ালে শরীর ও ব্রেন থাকবে কর্মক্ষম ও সতেজ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)