গ্রীষ্ম শুরুর আগেই হালদা নদীতে নোনা পানি ঢুকে পড়েছে। নদীতে জোয়ারের সময় শোধনাগারের জন্য পানি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এতে ওয়াসার মোহরা ও মদুনাঘাট পানি শোধনাগারে প্রায় ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ কমে গেছে। এদিকে, গ্রীষ্ম মৌসুমে বিকল্প স্থান থেকে পানি সংগ্রহ করে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য একটি পানি শোধনাগার প্রকল্প নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ওয়াসা।
ওয়াসা বর্তমানে দৈনিক ৪৮ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে। সম্প্রতি জোয়ারের সময় হালদায় লবণ পানি ঢুকে পড়ছে। হালদা থেকে মদুনাঘাট ও মোহরা পানি শোধনাগারের জন্য পানি সংগ্রহ করা হয়। এতে হালদায় ভাটার সময় পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এতে এই দুই শোধনাগার থেকে দৈনিক প্রায় ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ কম হচ্ছে।শুষ্ক মৌসুমে বৃষ্টির অভাবে কাপ্তাই হ্রদের উজানে পর্যাপ্ত পানি থাকে না। ফলে সেখান থেকে পানি ছাড়া হয় তুলনামূলক কম। সেই স্বল্প পানি বিপরীতমুখী সাগরের পানিকে জোরালো বাধা দিতে পারে না। ফলে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি পরিমাণ সাগরের নোনা পানি ঢুকে পড়ে হালদা নদীতে।
এই তীব্র লবণাক্ততার কারণে জোয়ারের সময় মদুনাঘাট ও মোহরা শোধনাগারের জন্য হালদা নদী থেকে পানি নেওয়া বন্ধ রাখতে হয় চট্টগ্রাম ওয়াসাকে। এতে পানির উৎপাদন কমে যায়। তখন চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে।
প্রস্তাবিত প্রকল্পটির নাম ‘লবণাক্ততা পরিহারের লক্ষ্যে মোহরা পানি শোধনাগারের ইনটেক স্থানান্তর এবং উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’। ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ২০৪২ সালে গিয়েও নগরীতে পানির বর্ধিত চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)