কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বেদে পল্লীতে নেই ঈদের আমেজ। অনেকের ঘরেই রয়েছে খাবারের সংকট। রোজা রেখে একদিন যে ভালো কিছু দিয়ে ইফতার করবে সে সামর্থ্যও নেই। ঈদুল ফিতর ঘনিয়ে আসলেও এখানকার বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে নেই ঈদের আনন্দ। সেখানের বাসিন্দারা বলনে রমজান মাস হওয়াতে আমাদের এখন কোনো কাজ কাম নেই। কাজে গেলে ২ থেকে ৪ শত টাকা কেউ রোজী করতে পারে আবার অনেকেই তা পারেনা। কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে বেচে আছি। রোজা রাখার পর যে ভাল মন্দ কিছু দিয়ে একবার ইফতার করব সে সাধ্যও নেই। তাই আজ আমরা সবাই চাঁদা তুলে একটু ভাল মন্দ ইফতারের আয়োজন করছি। হয়তো আজ সবাই আমাদের সাধ্যমত একটু ভালো ইফতার করতে পারবো। তাতেই আমাদের আনন্দ।
আর ইদের কথাতো ভাবাই যায়না।নিজেরাতো দুরের কথা বাচ্চাদের জন্য যে নাম মাত্র টাকায় একটা জামা কিনে দেব সে সামর্থ্যও নেই বলে জানান পল্লীর কয়েকজন নারী।ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের নিকটবর্তী হাইওয়ে থানার পাশেই বেদে সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক লোকের বসবাস। এই পল্লীর ৪০টি পরিবারের সবাই মুসলমান। প্রায় ৮ বছর আগে কয়েকটি পরিবার বসবাস শুরু করলেও সময়ের ব্যবধানে বর্তমানে ৪০ পরিবার বসতি করছেন। বেদেণীরা সাপ খেলা আর তাবিজ কবজ বিক্রি করতে এখন আর মানুষের মাঝে তেমন সাড়া পাচ্ছেননা। পল্লীর মাদ্রাসার ঈমাম মো, খায়রুল ইসলাম বলেন, এ মাদ্রাসায় ৪০ জন শিক্ষার্থী আছে। তাদের বাবা মা সারা দিন বাহিরে থাকলেও ছেলে মেয়েদের জন্য এখানে কোরান শিখার জন্য পাঠিয়ে দেন। এখানকার নারী পুরুষ সবাই গোসল আর টয়লেটের সমস্যায দীর্ঘদিন যাবত দুর্ভোগে রয়েছে। মাদ্রাসার জন্য একটি ওজুখানা আর টয়লেটের খুবই জরুরী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন বলেন, বেদে সম্প্রদায় ভাসমান একটি জনগোষ্ঠী হওয়ায় তাদেরকে সরকারী ভাবে তেমন কোন সহযোগিতা করা যাচ্ছে না। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় তাদের মুখে ঈদের হাসি ফুটানোর চেষ্টা করবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)