মাটির কোনো স্পর্শ ছাড়াই চারা তৈরি করে সাড়া ফেলেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সাইদুর রহমান। মাটির পরিবর্তে জৈবসার মিশ্রণ ও নারিকেলের ছোবড়া ব্যবহার করছেন তিনি। এভাবে চারা উৎপাদন করে কৃষি খাতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করায় এসব চারার মানও বেশ ভালো। এ পদ্ধতির নাম ‘কোকোডাস্ট’। এ পদ্ধতিতে সবজির চারার মৃত্যুর হার নেই বললেই চলে। আধুনিক এ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদন মাটির স্পর্শ ছাড়াই প্লাস্টিকের ট্রেতে সম্পন্ন হয়।
একপর্যায়ে চারা কিনতে ঝামেলা হওয়ায় নিজে চারা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তা সাইদুর রহমান। শুরুতে নারিকেলের ছোবড়া, প্লাস্টিকের ট্রেসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে চারা উৎপাদন করেন তিনি।হাউজের চারপাশে নেট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। যেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাস প্রবেশ নিশ্চিত হয় এবং ক্ষতিকারক পোকামাকড় থেকেও রক্ষা পায়। তাপ নিয়ন্ত্রণ ও ঝড়-বৃষ্টি থেকে চারা নিরাপদে রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ পলিথিন।
এ নার্সারিতে চারা তৈরি ও পরিচর্যায় কাজ করছেন ৫ জন শ্রমিক। তারা বলছেন, প্রতি মাসে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন তারা। এতে তাদের সংসারেও ফিরেছে সচ্ছলতা। শ্রমিকরা বলেন, ভোর থেকে দিনে দুই-তিনবার চারার পরিচর্যা করতে হয়। মাসে যা বেতন পাই, তাতে আমার সংসার খুবই ভালো চলছে। এ কারণে মাটি ছাড়া চারা উৎপাদন পদ্ধতি ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)