শাড়ি যেন বাঙালি মেয়েদের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১২ হাতের এই কাপড়ের রয়েছে হাজারো ডিজাইন ও মান। বুনন, রং ও ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে শাড়িকে সাজানো যায় অগণিত ভাগে। তবে শাড়ি সংরক্ষণও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
১. ভালো, দামি শাড়ি নিজে না ধুয়ে লন্ড্রি থেকে ড্রাই ক্লিন করুন। এতে শাড়ির সব অংশ সমানভাবে পরিস্কার হবে এবং শাড়ির সুতার উপর চাপ কম পড়বে।
২. শাড়িতে কাদা জাতীয় কোনো ময়লা লাগলে সাথে সাথে ঠান্ডা পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন। সম্ভব না হলে লিকুইড ডিটারজেন্ট লাগিয়ে রাখুন, পরে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। তবে কড়া দাগের ক্ষেত্রে ড্রাই ওয়াস করিয়ে নিতে হবে।
৩. শাড়ি ব্যবহারের পর খুলে সাথে সাথে ভাঁজ করে ফেলবেন না। কিছুক্ষণ বাতাসে রেখে তারপর ভাঁজ করুন।
৪. দামি শাড়ি পাতলা কাপড়ে বা কাপড়ের ব্যাগে রাখুন। এতে শাড়ি ভালো থাকবে।
৫. শাড়ির রং দীর্ঘদিন পর্যন্ত উজ্জ্বল রাখতে মাঝে মাঝে আলো বাতাস পূর্ণ জায়গায় মেলে রাখুন। তবে সরাসরি রোদে শাড়ি মেলবেন না। এতে শাড়ি দুর্বল হয়ে যায়।
৬. কাবার্ড বা আলমারিতে পোকার আক্রমণ থেকে বাঁচতে নিম পাতা, শুকনো মরিচ বা ন্যাপথলিন রাখুন।
৭. কাঠের আলমারিতে শাড়ি রাখলে খেয়াল করবেন আলমারিতে যেন ঘুন না ধরে।
৮. মসলিন বা কাতান শাড়ি ভাঁজ করার সময় মাঝে সাদা কাগজ দিয়ে রাখুন। শাড়ি ভালো থাকবে।
৯. একই ধরণের শাড়ি এক জায়গায় রাখুন। খুব বেশি শাড়ি একসঙ্গে জড়ো করে রাখবেন না।
১০. সাদা বা হালকা রঙের শাড়িতে তেল মশলা জাতীয় কোনো দাগ লাগলে দাগের উপর সাদা টুথপেস্ট দিয়ে রাখুন এবং সকালে আলতো হাতে পেস্ট তুলে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে। যদি দাগ পুরোপুরি না উঠে, তাহলে আবার একই পদ্ধতি রিপিট করুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)