
দুর্নীতির অভিযোগের পর পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে পদত্যাগ করেছেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী লুভাসাল্লামস্রাইন ওয়ুন-এরদেন। তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কয়েক দিনের গণবিক্ষোভের পর এ আস্থা ভোট হলো।প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা নিয়ে জনমনে হতাশা তুঙ্গে উঠেছে, যার ফলে রাজধানী উলানবাটোরে ক্রমাগত বিক্ষোভ দেখা দেয়।ওয়ুন-এরদেনের ছেলের জাঁকজমকপূর্ণ জন্মদিনের পার্টি ও বাগদান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা গণবিক্ষোভ উসকে দিয়েছিল। সংসদে গোপন ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ওয়ুন-এরদেন বলেন, ‘মহামারি, যুদ্ধ এবং শুল্কসহ বিভিন্ন কঠিন সময়ে আমার দেশ এবং জনগণের সেবা করা সম্মানের বিষয়।
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা ওয়ুন-এরদেন তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভোটের আগে সংসদে দেয়া ভাষণে তিনি “প্রধান, দৃশ্যমান এবং লুকানো স্বার্থ”-কে সরকারকে পতনের জন্য “সংগঠিত প্রচারণা” বলে দায়ী করেছেন।তিনি আরও সতর্ক করেছিলেন, যদি তাকে ক্ষমতা থেকে জোর করে সরিয়ে দেয়া হয় তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। কিন্তু তার আবেদন সংসদকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ১২৬ আসনের সংসদে মাত্র ৪৪ জন আইনপ্রণেতা তাকে সমর্থন করেন।ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ওয়ুন-এরদেন ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে মঙ্গোলিয়ায় দুর্নীতি পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সরকারি স্বচ্ছতার দিক থেকে গত বছর দেশটি ১৮০টি দেশের মধ্যে ১১৪তম হয়েছিল। ২০২১ সালে ক্ষমতায় বসা ওয়ুন-এরদেন পদত্যাগ করলেও আপাতত তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তার উত্তরসূরি বেছে নেওয়া হবে।