ইউক্রেনের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাকে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে অবস্থিত আমেরিকার একটি স্কুলের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।৫১ বছর বয়সী অ্যান্ডরি পোর্টনভ মাদ্রিদের পোজুয়েলো দে আলার্কন এলাকায় অবস্থিত আমেরিকান স্কুলে তার সন্তানকে রেখে পার্কি করে রাখা গাড়ির সামনে হেঁটে আসার সময়ই গুলিবিদ্ধ হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অপরিচিত একজন হামলাকারী অ্যান্ডরি পোর্টনভের ওপর একাধিকবার গুলি চালিয়ে বনভূমির দিয়ে পালিয়ে যায়।
পোর্টনভ এক সময় সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ প্রশাসনের উপপ্রধানও ছিলেন। ইয়ানুকোভিচ ছিলেন রাশিয়াপন্থি প্রেসিডেন্ট। যাকে ২০১৪ সালে কয়েক মাসব্যাপী বিক্ষোভের পর ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়।
এর আগে অ্যান্ডরি পোর্টনভ ইউলিয়া টিমোশেঙ্কোর শাসকদলের একজন সংসদ সদস্য (এমপি) ছিলেন। তবে ২০১০ সালে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি তার দলে যোগ দেন। পরবর্তীতে বিক্ষোভ শুরু হলে অ্যান্ডরি ইউক্রেন ছেড়ে চলে যান। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দেশে ফিরে আসেন।পরে তিনি আবারও ইউক্রেন ছেড়ে চলে যান। এরপর ২০২১ সালে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যেখানে বলা হয়, অ্যান্ডরি প্রভাব বিস্তার করে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছেন এবং সংস্কার ব্যবস্থায় বাধা সৃষ্টি করেছেন।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া নয়টার দিকে স্কুলে প্রবেশ করার পরই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে কী কারণে গুলি করা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টি গুলির শব্দ শোনা গেছে। একজন শিক্ষার্থী স্প্যানিশ টেলিভিশনকে জানায়, তিনি ভেবেছিলেন ওগুলো ‘আতশবাজি বা পটকা’। এল মুন্দো পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোর্টনভের সাহায্যে এগিয়ে আসা এক নারী চিৎকার করেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানিয়েছে, ড্রোন এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করে পুলিশ বন্দুক ধারীকে খুঁজছে। হামলাকারী নীল রংয়ের ট্রাকস্যুট পরা ছিল।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)