যশোরের মনিরামপুরে খোরশেদ আলম নামে এক কৃষকের দেড় বিঘা জমির সরিষা পুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার খেদাপাড়া ইউনিয়নের সোহরাব মোড় নামক স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক খোরশেদ আলম ওই এলাকার বাসিন্দা। আগুনে অন্ততঃ ১০ মণ সরিষা পুঁড়ে ছাই হয়েছে। কে বা কারা কৃষকের এত বড় ক্ষতি করেছেন সেটা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও স্থানীয়দের ধারণা মাদকসেবীরা মাঠে মাদক সেবন করতে গিয়ে নেশার ঘোরে সরিষার স্তূপে আগুন দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্কুল ছাত্র মুরাদ হোসেন জানান, শনিবার সোহরাব মোড়ের ব্যবসায়ীরা সুন্দরবনে বনভোজনে যান। খোরশেদ আলমও দোকানিদের সাথে সুন্দরবনে গিয়েছিলেন। মুরাদ বলেন, রাতে আমরা মোড়ে ছিলাম। হঠাৎ তাপ অনুভব করে উত্তর দিকে তাকিয়ে দেখি মাঠের মধ্যে আগুন জ্বলছে। দৌঁঁড়ে মোড়ের সবাই এগিয়ে যেয়ে দেখি খোরশেদ আলমের সরিষার স্তূপ পুঁড়ছে। তখন কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে ৪-৫ কাঠা জমির ফসল রক্ষা করতে পেরেছি। বাকি ফসল আমাদের সামনে পুঁড়ে ছাই হয়ে গেছে। খোরশেদ আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম বলেন, চার দিন ধরে ২০ জন শ্রমিক নিয়ে দেড় বিঘা জমির পাকা সরিষা তুলে মাঠে স্তূপ করে রেখেছি। রোববার সকালে সরিষা ঝাড়ার (মাড়াই-গাছ থেকে ফল আলাদা করা) কথা ছিল। তার আগেই আমাদের এত বড় সর্বনাশ হয়ে গেল। নুরজাহান বেগম বলেন, মাঠে আরও অনেকের সরিষা স্তূপ করা আছে। কারও কোন ক্ষতি হল না। আমাদের কোন শত্রæ নেই। ধারণা হচ্ছে, মাঠে নেশা করতে এসে কেউ শত্রæতা করে সরিষার স্তুপে আগুন দিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, দেড় বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে। ফলন খুব ভাল হয়েছে। আগুন লেগে অন্ততঃ ১০ মণ সরিষা পুঁড়ে গেছে। খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুল হান্নান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)