প্রতি বছর রমজানের সময় সাধারণত চালের দাম কম থাকে। কারণ, এ সময় চালের চাহিদা কমে যায়। বিশেষ করে রমজানের মাঝামাঝিতে এসে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই তুলনামূলক কম থাকে। কিন্তু এবার চালের দাম না কমে উলটো বেড়েছে। বিশেষ করে মিনিকেট চালের দাম।ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় মিনিকেট চালের সরবরাহ কম
। যে কারণে এই চালের দাম বাড়তি। এ প্রসঙ্গে বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলেছেন, মিনিকেট নামে ধানের কোনো জাত নেই। তাই মিনিকেট নামে কোনো চালও নেই। ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, ব্রি হাইব্রিড ধান ও কাজল লতার মতো মোটা এই বাজারের মেসার্স মান্নান রাইস এজেন্সির মো. মান্নান বলেন, অন্যান্য চালের দাম তেমন না বাড়লেও মিনিকেট চালের দাম বেশ বাড়তি। তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ধাপে ধাপে প্রতি কেজি মিনিকেট চালে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। কিন্তু মিনিকেট নামে আদৌ কোনো ধান আছে কিনা তা নিয়ে রয়েছে নানা মত। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) সূত্র জানিয়েছে, মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই।এ ধান থেকে তৈরি হয় মিনিকেট চাল। কেউ কেউ দাবি করেছেন, বাজারে মিনিকেট নামে যে চাল পাওয়া যায়, সেটার উৎপত্তি ভারতের এক ধরনের ধানের বীজের প্যাকেট থেকে। '
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)