মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর এগিয়ে আসছে। প্রতি বছর এ আনন্দে সব পরিবারেই থাকে বাড়তি কেনাকাটার চাপ। আবার রমজান জুড়ে সেহরি ও ইফতার বাবদও অতিরিক্ত ব্যয় হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে এবার রোজায় ভোগব্যয়সহ ঈদকেন্দ্রিক বিভিন্ন ধরনের কেনাকাটায় সারা দেশে মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোর ২৫ লাখ দোকানে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা বাণিজ্যের প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা। আবার ঈদকে কেন্দ্র করে পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ১৫ দিনে ২০ হাজার ২৫২ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এসেছে।
ফলে ঈদ অর্থনীতির আকারও বড় হচ্ছে। তবে মানুষের আয়ের বেশির ভাগ খরচ হয়ে যায় দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে।গতকাল নিউমার্কেটে দেখা গেছে, শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী মানুষ কেনাকাটা করতে এসেছেন। এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে—পাকিস্তানি আগানুর, শাহিনশাহ, তাওকাল, মুসলিম অরগেঞ্জা, সিকুয়েন্স, সাদা বাহার, কারিজমা ও সারারা থ্রি পিস। তালিকায় রয়েছে শাড়িও।ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে মিরপুরের বিভিন্ন মার্কেটেও। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাজমা আক্তার বলেন, ঈদের বাকি আর মাত্র কিছু দিন। মেয়েদের একটু আগেভাগেই কেনাকাটা করতে হয়। কারণ পোশাকগুলো আবার সেলাই করতে দিতে হয়। তাই আগেই এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে।বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি পরিচালিত সমীক্ষা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ঈদ কেন্দ্র করে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়ে আসছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)