প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৭, ২০২৫, ১:১৭ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ৫, ২০২৫, ১০:৪৮ এ.এম
রমজানে গ্যাস সংকট যেন বাড়তি ভোগান্তি

চলতি রোজার মাসে হুট করে বিকালে গ্যাসের চাপ কমে যাচ্ছ। প্রথম রমজান থেকেই গ্যাস নিয়ে বিপাকে পড়া রাজধানীর অনেক গৃহিণীর কণ্ঠে উঠে এসেছে এমন অভিযোগের সুর।রাজধানীতে বাসিন্দাদের অভিযোগ, সারা বছর গ্যাসের কষ্ট করতে হয়, এই রমজানেও একই অবস্থা। সন্ধ্যা ৬টায় গ্যাস এলে মানুষ ইফতারের আয়োজন কখন করবে?’ অনেক এলাকায় দুপুর গড়ানোর আগেই গ্যাস কমে, বিকাল নাগাদ গ্যাস থাকেই না। গ্যাস নিয়ে ভোগান্তিতে থাকা এলাকার মধ্যে রয়েছে পুরান ঢাকার অনেক এলাকা, রামপুরা, উলন, হাজারীবাগ, খিলগাঁওয়ের কিছু অংশ, মিরপুর ও উত্তরার কিছু অংশ, মোহাম্মদপুর, মানিকনগর, বাসাবোসহ আশপাশের বেশিরভাগ এলাকা।
জানা গেছে, মার্চের শুরুতে কিছুটা গরম পড়ায় গৃহস্থালির গ্যাস সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রে। এতেই ঘটেছে বিপত্তি। রান্নাঘরে গৃহিণীদের প্রতীক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে কিন্তু রান্না হচ্ছে না। মার্চে যেমন রোজা শুরু হয়েছে, একইসঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। এদিকে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে সেচ মৌসুম। ফলে মার্চে এসে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। সব মিলিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর কারণে বাসাবাড়িতে সংকট বেড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসাবাড়িতে গ্যাস ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষ। ২ মার্চ প্রথম রমজানে সারা দেশে ২ হাজার ৮৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। কিন্তু চাহিদা ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি।
তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রে দৈনিক ৮৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বেশি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে সংকটে পড়েছে আবাসিকসহ অন্যান্য খাত।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)
- সহ-সম্পাদক: প্রফেসর আসাদুজ্জামান সুমন
© All rights reserved © Daily Songbad diganta