যেদিকে তাকাই শুধু যেন প্রতারনার খেলা। যেমন অন্যায় অফলাইনে তেমন অন্যায় অনলাইনে।সরকার অনলাইন ব্যবসায়ে কঠোর হওয়ার পরও আনাচে-কানাচে অন্যায় যেন এখনও বাসা বেঁধে আছে। এমনই একটি অন্যায়য়ের কথা আজ তুলে ধরছি।
“নারী উন্নয়ন সংস্হা” একটি অনলাইন প্লাটফর্ম। যাদের ব্যবসায় পেজ ঘুরলে দেখা যায়, তারা সততার সঙ্গে কাজ করে। কলম প্যাকেজিং জব দিয়ে থাকে বিভিন্ন বেকার যুবক-যুবতীদের। ভালো রিভিও ও আছে তাদের পেজের।
কর্মসংস্থান একটি ভালো দিক। কিন্তু যদি হয় প্রতারনা কিংবা মিথ্যার স্বামিল তাহলে এটা কি ধরনের কর্মসংস্থান? এক ব্যক্তি কাজ করার জন্য সিস্টেম জানতে চেয়ে নক করলো পেজের মেসেন্জারে। সাথে সাথে ম্যাসেজ চলে এলো:
কাজটি করতে হলে,
নাম:....
ঠিকানা:....
মোবাইল নম্বর:......
এবং ১০,০০০ কলম প্যাকিং করে ২০,০০০ টাকা বেতন......
রেজিষ্ট্রেশন এবং কাজটি কনফার্ম করার জন্য ৩০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে....
২৪ ঘন্টার ভিতর আপনার ঠিকানায় কাজটি পৌছে যাবে। সাথে থাকছে ৫০০০ টাকা ঈদের বোনাস।
ব্যক্তির ঐ নারী উন্নয়ন সংস্থার কাছে পাল্টা প্রশ্ন ছিল, প্রুভ কি? আমি আপনাকে ৩০০ দিলে যে আপনি আমাকে কাজ দিবেন তার প্রুভ কি? তারপর তিনি কিছু রিভিও পাঠালো। সাথে বার বার বলল, আমরা কাজ দিয়ে থাকি। তারপর ব্যক্তিটি তাদের কথায় বিশ্বাস করে বিকাশ এ ৩০০ সেন্ড মানি করল। তারপর পাল্টা এস এম এস যা ছিল, আধা ঘন্টা সময় দিবেন রেজিষ্ট্রেশন করে জনোবো।
কিছু সময় বাদে আবার এস এম এস অসলো, “ আপনার রেজিষ্ট্রেশন হয়ে হেছে। কোম্পানি থেকে আপনাকে ১০,০০০ কলম দেওয়া হবে। এক মাসে প্যিাকিং করবেন ২০,০০০ টাকা বেতন। এতগুলো টাকার কলম পাঠাবো সেজন্য আপনার জামানত হিসেবে ১০০০ টাকা দেওয়া লাগবে। ডেলিভারি ম্যান যখন আপনাকে কলম দিতে যাবে তখন আপনার টাকা রির্টান করে দিবে।”
এই দরনের ধান্দাবাজদের কি নির্মূল হবেনা?
ব্যক্তির প্রশ্ন হলো- কোম্পানি কাজ দিবে। আমি ভালো করলে ভালো, না করলে বাদ। কিন্তু সেখানে যদি হয় জামানত তাহলে আর ঐ কম্পানির জব করার দরকার কি? ১০০০ বিনিয়োগ করে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করলেই হয়। জামানত ১০০০ দিলে আদৌ কি কাজটি হত? এর নিশ্চয়তা কে দিবে? এরকম ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রতারনামূলক অনলাইন ব্যবসা। যার ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ, বেকার যুবক-যুবতী সমাজ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)