প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ২৪, ২০২৫, ১১:৪৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ২২, ২০২৫, ২:১৩ পি.এম
ডায়াবেটিক রোগীর রোজা

পরিসংখ্যান মতে, সারা বিশ্বে ১৫০ মিলিয়নের বেশি মুসলিম ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। রমজানে এই বিপুলসংখ্যক মানুষের খাদ্য এবং ওষুধ গ্রহণের সময়সূচির তারতম্য ঘটে। পাশাপাশি বদলে যায় নিদ্রা, শরীরচর্চা ও স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনযাপনের রুটিন।
যাদের রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ:ডায়াবেটিক রোগীদের যাদের মধ্যে নিচের তালিকার অন্তত একটি সমস্যা বিদ্যমান, তাদের জন্য বিশেষভাবে রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে আছে—♦ রোজা শুরুর তিন মাসের মধ্যে যাদের তীব্র মাত্রার হাইপোগ্লাইসেমিয়া কিংবা ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিসের মতো জটিলতা তৈরি হয়েছে।♦ বারবার যাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা আছে। এ অবস্থাকে বলা হয় হাইপোগ্লাইসিমিয়া, যা দ্রুত প্রাণঘাতী হতে পারে। ♦ যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, তাদের জন্য রোজা রাখা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।♦ যেসব রোগী প্রতিদিন তিন বা আরো বেশিবার ইনসুলিন গ্রহণ করে তাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ।♦ গর্ভবতী নারীদের অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে এ বিষয়ে পরামর্শ করতে হবে।♦ ডায়াবেটিসের পাশাপাশি অস্থিতিশীল হৃদরোগের উপস্থিতি থাকলে।♦ ডায়াবেটিসের সঙ্গে কিডনির সমস্যায় ভুগছে যারা, বিশেষত যাদের ডায়ালিসিস করতে হয়।
খাদ্য তালিকায় নজর দিন:রমজানে ডায়াবেটিক রোগীর খাদ্য তালিকায় বাড়তি নজর দিতে হয়। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি বেশ কিছু বিষয় বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।♦ পানিশূন্যতা দূরীকরণে ইফতারে পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করতে হবে।♦ মিষ্টি জাতীয় খাবার, যেমন—জিলাপি, চিনিযুক্ত শরবত, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন পরিহার করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)
- সহ-সম্পাদক: প্রফেসর আসাদুজ্জামান সুমন
© All rights reserved © Daily Songbad diganta