ডেটা সায়েন্টিস্ট, প্রোডাক্ট ম্যানেজার, আইটি প্রধানসহ যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল সার্ভিসের ২১ জন কর্মী মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন।২০১৪ সালে তৈরি এই দপ্তরই বর্তমানে ইলন মাস্কের অধীনস্ত ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি বা ডোজ।কর্মীরা তাদের ইস্তফাপত্রে জানিয়েছেন, তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরগুলোকে ধ্বংস হতে দেবেন না।
তারা জানান, সংবিধানকে সাক্ষী রেখে যুক্তরাষ্ট্রবাসীদের পরিষেবা প্রদানে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম। যে কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট-প্রশাসন নির্বিশেষে আমরা পরিষেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর ছিলাম। একথা ক্রমশ পরিষ্কার যে বর্তমানে সেই কাজ করা সম্ভব হবে না। আমাদের দক্ষতাকে ব্যবহার করতে দেব না।
তারা সতর্ক করেছেন, মাস্ক-নিযুক্ত অল্পবয়সী কর্মীরা, যারা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার কাজে নেমেছেন, তারা রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও দক্ষ কর্মী নন।
ট্রাম্প-মাস্কের ডোজ যাত্রা
দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর সরকারি অপচয় বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টেক-ধনকুবের ইলন মাস্ককে ডোজের দায়িত্ব দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম বিত্তশালী ব্যক্তি মাস্ক ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে সব থেকে বেশি টাকা ঢেলেছেন। শুধু তাই নয়। তিনি হাজার কোটি ডলারের সরকারি চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন।
ইলন মাস্কের নেতৃত্বে ডোজ একাধিক সরকারি দপ্তর থেকে গণছাঁটাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা বিভিন্ন সরকারি খাত থেকে ব্যয় বরাদ্দ সংকোচন চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক স্তরে এই নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। সরকার চালানোর পরিকাঠামোগুলো এর ফলে দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)