জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে কুপিয়ে হত্যা করেছে আতাউর রহমান বিপুল (৫০) নামের এক ইলেকট্রিশিয়ানকে।
এ সময় তার পরিবারের ২জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকার কান্দারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের অবস্থা আশঙ্কা জনক।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত আতাউর রহমান পোগলদিঘা গ্রামের মৃত ছানোয়ার হোসেন তোতার পুত্র বলে জানা গেছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের কান্দারপাড়া গ্রামের আতাউর রহমানে সাথে প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মৃত সানোয়ার হোসেন তোতার পুত্র আসাদুজ্জামান আপেলের ১৩ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার সকাল ১১টায় উক্ত জমিতে চাষাবাদের জন্য জঙ্গল পরিষ্কার করে মাটি সমতল করার কাজ করছিল আতাউর রহমান।
এ সময় আসাদুজ্জামান আপেলের নেতৃত্বেতার মাতা আয়েশা বেওয়া, তুহিনা খাতুন, তার পুত্র তানিম, তাহসিন, তমাল, বেবী, তার পুত্র বিন্দু, আপেলের ভাগনে রাব্বী, সাজিদসহ ১০/১২ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বলে নিহতের পরিবার দাবি করে। ধারালো অস্রের আঘাতে আতাউর রহমান বিপুলের ডান হাত ও ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। তাকে বাঁচাতে মা আসমা বেওয়া ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম এগিয়ে এলে অস্ত্রধারীরা তাদেরও কুপিয়ে আহত করে। আসমা বেওয়ার ডান হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা বেগতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মন সিংহে প্রেরণ করে। বর্তমানে তাদের মা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ শান্ত করে এবং আতাউর রহমানের বিচ্ছিন্ন ডান পা কুড়িয়ে থানায় নিয়ে আসে।
সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আরএমও ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, গুরুতর আহত দুই রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. চাঁমিয়া বলেন, ঘটনাস্থলে নিজে পুলিশ ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)