প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ৭:৪৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১৫, ২০২৫, ৯:৪৭ এ.এম
কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়া ব্যবসায়ীদের
রাজনৈতিক অস্থিরতা, শিল্পে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট, ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি, পণ্য আমদানিতে উচ্চ শুল্ক, ঋণের উচ্চ সুদহার, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে স্বল্পতা প্রভৃতি কারণে সংকটের মুখে দেশের অর্থনীতি। এছাড়া আশানুরূপ বাড়ছে না বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও রাজস্ব আদায়। নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান নেই। অর্থনীতির এ ভঙ্গুরতা থেকে বেরিয়ে আসার সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপও নেই।
ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা উত্তরণের সময় আরও দুই থেকে তিন বছর বাড়ানোর দাবি করলেও নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।ব্যবসায়ীদের মতে, এটি উন্নয়নযাত্রার একটি মাইলফলক হলেও নানা চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। রপ্তানি খাতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি হারানো এবং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে।বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ কমপক্ষে ২-৩ বছর পিছিয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
‘চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক ৮ শতাংশ, যেখানে উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণে ৫টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ‘মসৃণ রূপান্তর কৌশল (এসটিএস)’ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এ বেসরকারি খাতের মতামতের ভিত্তিতে কতটুকু টেকসই উপায়ে এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়াকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যে কারণে তৈরি পোশাক খাতের পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি প্যাকেজিং খাতের উন্নয়নে মনোযোগী দেখা যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)
- সহ-সম্পাদক: প্রফেসর আসাদুজ্জামান সুমন
© All rights reserved © Daily Songbad diganta