ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তরল সম্পদ বাড়লেও অতিরিক্ত নগদ ২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা কমে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা।আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্টে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তরল সম্পদের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা। তবে গত ছয় মাসে এই অঙ্ক বেড়েছে। প্রয়োজনীয় স্ট্যাট্রটরি লিকুইডিটি রেশিও (এসএলআর) ও ক্যাশ রিজার্ভরেশিও (সিআরআর) রাখার পরে অতিরিক্ত তারল্য হিসাব করা হয়।
ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য বাড়ার কারণে হচ্ছে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কম। এই সময়ে ব্যাংকগুলো দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বেসরকারি খাতের চেয়ে সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ বেশি করেছে। এ কারণে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে।২০২৪-এর ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.২৭ শতাংশ, যা এক বছর আগে ১০ শতাংশের বেশি ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ঋণের চাহিদা কমে যাওয়া, নতুন বিনিয়োগের অভাব এবং সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ বাড়ার কারণে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ৭.২৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা নভেম্বরের তুলনায় ৩৮ বেসিস পয়েন্ট কম জুলাই থেকে ধীরে ধীরে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমা অব্যাহত রয়েছে।রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, চলতি অর্থবছরে দেশে মূলধনি যন্ত্রপাতি মেশিনারি আমদানি অনেক কমেছে, কারণ দেশে নতুন করে বিনিয়োগ বাড়েনি। এ কারণে ব্যাংকগুলো তাদের অর্থ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করছে। তবে ব্যাংকগুলোতে বর্তমানে ডলারের প্রবাহ ভালো।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)