মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বলড়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা শামিমের বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধনে বাড়তি টাকা আদায় ও সেবা নিতে আসা বেশিরভাগের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সদ্যজাত জন্ম নেওয়া থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুর ৪৬ দিন বয়স থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা না করে বাড়তি টাকা আদায় যেন অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে ৪নং বলড়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা শামিম বিশ্বাসের কাছে। এছাড়াও তাঁর দুর্ব্যবহারে অনেকেই অতিষ্ঠ।
বলড়া গ্রামের নাম না প্রকাশে একজন জানান, আনুমানিক ১ বছর পূর্বে নিজ নামসহ তার স্বামী, ও দুই সন্তানের জন্য মোট ৪টি জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে শামীম বিশ্বাস ৯০০ টাকা দাবী করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ৫০০টাকা দিয়ে আসেন এবং আনুমানিক ২০দিন পর শামীম বিশ্বাস মুঠফোনে জানান যে, জন্ম নিবন্ধন বের করে রেখেছি বাকি ৪০০ টাকা দিয়ে নিয়ে যান। আর্থিক টানাটানির কারনে জন্ম নিবন্ধ আনতে দেরি হওয়ার কারনে শামীম বিশ্বাস অনেক দূর্ব্যবহার করেন একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন এবং অতিরিক্ত আরো ৯০০ টাকা দাবী করেন। তিনি আরো জানান যে, মেয়েকে স্কুলে ভর্তির জন্য জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন থাকায় আনুমানিক ১মাস পূর্বে প্রতিবেশীর সহযোগীতায় শামীম বিশ্বাসের দাবীকৃত অতিরিক্ত ৯০০ টাকার মধ্যে ৭০০ টাকা তাৎক্ষনিকভাবে দিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন হয়নি বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে শামীম বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে জানান যে, এক বছর পূর্বে যারা জন্ম নিবন্ধন করে হারিয়ে ফেলেছে বা উত্তোলন করেননি তাদের ক্ষেত্রে নতুন করে আবেদন করতে হয় বিধায় অতিরিক্ত ৯০০টাকার কথা বলা হয়েছে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ আদায় বিষয়ে তিনি জানান, চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমন্বয়ে প্রতিটি জন্ম নিবন্ধন বাবদ ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)