প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১৬, ২০২৫, ১:৫৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ৭:৩৯ পি.এম
কেসিসি নিয়ন্ত্রিত রুপসা ফেরিঘাট দখল লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা

খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নিয়ন্ত্রিত রুপসা ফেরিঘাটটি দখল, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কেসিসির স্টাফ এস এম মঈদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৭ জনকে আসামী করা হয়েছে।
এর মধ্যে দু,জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহার ভুক্ত আসামীরা হলো, ঢাকা মীরপুরের বাসিন্দা সোলায়মান শেখের ছেলে শেখ আলী আকবর (৪৫) ও ঢাকা মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মনোয়ার হোসেনের ছেলে আবু সাইদ(৪০)। মামলাটি তদন্ত করছেন এস আই শাহ আলম।তিনি বলেন, ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে।
কেসিসির স্টেট অফিসার গাজী সালাউদ্দিন মামলার বরাত দিয়ে বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭ টায় আসামীরা রুপসা টোল ঘরে ২৫/২৭ জনের দুবৃত্ত চড়াও হয়।তারা টোল প্লাজায় প্রবেশ করে স্টাফ মোহিদুলের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।।ক্যাশে রক্ষিত নগদ বিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ৫ আগস্টের আগে আন্দোলনে ঘাটের সকল সিসি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে যায়।
গত কয়েক দিন আগে সিসি ক্যামেরা আবার নতুন করে স্থাপন করা হয়।সেই ক্যামেরা গুলো দুবৃত্তরা খুলে নিয়ে গেছে।তারা পুরো ঘাট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।।২০০৫ সাল থেকে কেসিসি এ ঘাটের টোল আদায় করে আসছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য স্থানীয় সরকার বিভাগ ১/২০০৩/২৬২/(৫২৭২) নং স্মারকের নীতিমালার আলোকে রুপসা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উপর ন্যাস্ত করা হয়। তথাপিও রুপসা/ খানজাহানআলী ব্রিজ চালু হওয়ার পর ১২/০৬/২০০৫ তারিখে এফ- ৫/১৬৬৪ নং স্মারকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের মালিকানাধীন পশ্চিম রুপসা ফেরিঘাট, ঘাট সংলগ্ন চত্বর ও সন্নিহিত এলাকার জায়গা খুলনা সিটি কর্পোরেশনকে ব্যাবহারের অনুমতি প্রদান করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বিআইডাব্লিউটি এর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,এই ঘাটের মালিকানা নিয়ে জেলা পরিষদের সাথে তাদের মামলা চলমান। নিন্ম আদালতের রায়ে জেলা পরিষদ পেলেও পরে তা আপিল করে কিন্তু আদালতের কোন সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় এত দিন তারা ঘাট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেননি।এখন আইনী জটিলতা শেষ হওয়ায় তারা ঘাট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
এক মাসের জন্য তারা ঘাটটি ইজারা দিয়েছেন। তবে কিভাবে বা কোন আইনি দীর্ঘ দিন ধরে কেসিসি ঘাটটি নিজেদের দখলে রেখেছিল তা তিনি বলতে পারেননি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)
- সহ-সম্পাদক: প্রফেসর আসাদুজ্জামান সুমন
© All rights reserved © Daily Songbad diganta