কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতে কী পরিমাণ অর্থ ঋণ দেওয়া হবে তার নতুন লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যক্তি পর্যায়ে প্রান্তিক অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোক্তারাও পাবেন জামানতবিহীন ঋণ। ট্রেড লাইসেন্স নেই এমন উদ্যোক্তাদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এছাড়া নারী উদ্যোক্তাদের ঋণের আওতা বাড়াতে নীতিগত পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২৯ সালের মধ্যে ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির ২৭ শতাংশ সিএমএসএমই খাতে দিতে হবে। যদিও বর্তমানে ২৫ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এ খাতে বিতরণ হয়েছে মোট ঋণের ১৯ শতাংশ। একই সঙ্গে প্রতি বছর এ খাতে ঋণের পরিমাণ দশমিক ৫ শতাংশ করে বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চলতি ২০২৫ সালের মধ্যে ব্যাংকের মোট ঋণ স্থিতির চলমান লক্ষ্যমাত্রা সিএমএসএমই খাতে ২৫ শতাংশ অর্জন হবে বলেও জানানো হয়।
ক্লাস্টার অর্থায়নে মাঠপর্যায়ের চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে পূর্বে প্রদত্ত লক্ষ্যমাত্রা ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। নারী উদ্যোক্তা খাতে অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সেবা খাতের ঋণ স্থিতির লক্ষ্যমাত্রা পূর্বের ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ এবং ব্যবসা খাতে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)