দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৪৩ প্রতিষ্ঠানকে আরও ১৯ কোটি ৩০ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আজ সোমবার এই ডিম আমদানির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমদানি–রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত অক্টোবর মাসে দুই দফায় ১৯ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ অনুমতি বলবৎ থাকবে। দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে বলে মনে করা হয়।
সরকার ডিম আমদানির ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে। প্রথম শর্তটি হলো- এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু–মুক্ত দেশগুলো থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত থাকার সনদ দাখিল করতে হবে। তৃতীয়ত, প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। চতুর্থত, অনুমতি পেলে সাত দিন পরপর এ–সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।
কিছু দিন আগে বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়ে প্রায় ২০০ টাকা ছুঁইছুঁই করেছিল। ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। তখন সরবরাহে ঘাটতির কারণে ডিম পাওয়া যাচ্ছিল না। আমদানির অনুমতি দেওয়ায় ডিমের দাম কমে আসে। সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী আজ ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ডিম এখন ১৪৪ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
যদিও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। অধিদপ্তর জানায়, প্রতিটি ডিমের দাম হবে উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। আর ডজন হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ডিম আমদানিতে সাময়িকভাবে শুল্ক-কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এরপর ১৭ অক্টোবর ডিম আমদানিতে করছাড় ঘোষণা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ডিম আমদানিতে শুল্কহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শুল্ক-সুবিধা থাকবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)