সুইডেনভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভলভো জানিয়েছে, খরচ কমানোর লক্ষ্যে তারা ৩ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে। তবে ছাঁটাইকৃত কর্মীদের অধিকাংশই সুইডেন অফিসের। যা মোট কর্মীদের প্রায় ১৫ শতাংশ। আর এসব কর্মীরা বড় বড় পদে রয়েছেন।
গত মাসে, চীনা গ্রুপ গিলি হোল্ডিংয়ের মালিকানাধীন ভলভো কার ১৮ বিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার ‘কর্ম পরিকল্পনার’ ঘোষণা করেছে। বৈশ্বিকভাবে গাড়ি উৎপাদনকারী এই প্রতিষ্ঠানটি একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- গাড়ি আমদানিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ, কাঁচা মালের উচ্চমূল্য এবং ইউরোপে ধীরগতির বিক্রি।
ভলভো কারের প্রধান নির্বাহী হাকান স্যামুলেনসন স্বীকার করেছেন, একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে কর্মী ছাঁটাই করতে হচ্ছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়া সত্যিই কঠিন। কিন্তু আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এবং ভলভো কারকে আরও যুগপোযোগী করার জন্য এ ধরনের পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই। চলতি মাসে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এপ্রিলে তাদের বৈশ্বিক বিক্রয় গত বছরের তুলনায় এ সময়ে ১১ শতাংশ কমেছে।ভলভো কারের প্রধান সদরদপ্তর এবং উন্নয়ন অফিস সুইডেনের গোথেনবার্গে অবস্থিত। এখান থেকেই সুইডেন, বেলজিয়াম, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উৎপাদন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়।
২০২১ সালে ভলভো ঘোষণা দেয়, তারা ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের সব গাড়ি ইলেকট্রিকে রূপান্তর করবে। কিন্তু গত বছর নানা সমস্যা এবং সাম্প্রতিক ইলেকট্রিক গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপ সেই পরিকল্পনাকে পিছিয়ে দিয়েছে।
জাপানিজ গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নিসান জানিয়েছে, তারা বিশ্বব্যাপী আরও ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে। এছাড়া বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে সাতটি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চীনের বিক্রিতে ভাটা পড়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক পরিমাণ ছাড় দেয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক অর্থ হারিয়েছে। এছাড়া হোন্ডা এবং মিতসুবিশির সঙ্গে একীভূত হওয়ার প্রস্তাব ফেব্রুয়ারিতে ভেঙে পড়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: এ বি এম মনিরুজ্জামান
নির্বাহী সম্পাদক: রিপন রুদ্র
যুগ্ম-সম্পাদক: জাকিয়া সুলতানা (লাভলী)